তাপস কুমার পাল একাডেমি আয়োজিত দশম বার্ষিক অনুষ্ঠানে বিশিষ্টদের হাতে তুলে দেওয়া হলো প্রজ্ঞা আন্তর্জাতিক সন্মান....

কলকাতা, ৮ জানুয়ারি, ২০২৪। গত ৭ই জানুয়ারি, রবিবার দক্ষিণ কলকাতার নিরঞ্জন সদনে তাপস কুমার পাল একাডেমি আয়োজিত ১০ম বার্ষিক অনুষ্ঠানে বিশিষ্টদের হাতে তুলে দেওয়া হলো প্রজ্ঞা আন্তর্জাতিক সন্মান। অনুষ্ঠানের শুরুতেই অতিথিদের গুরু বরণ করা হয় গৌড়ীয় নৃত্যের মাধ্যমে। এর পরবর্তী পর্যায়ে বেহালা সম্রাট পন্ডিত ভি. জি. যোগ এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন অতিথিগণ। এরপর প্রদীপপ্রজ্জ্বলনে অংশগ্রহণ করেন রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মিত্রা গুপ্ত, বিশিষ্ট সাহিত্যিক প্রচেত গুপ্ত, রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদের ডিন ড. দেবাশীষ মণ্ডল, ড.শঙ্কর চক্রবর্তী, সভাপতি সুভাষ দে নিয়োগী, ড. গায়েত্রী ভট্টাচার্য, অধ্যাপক কালাম মাহমুদ (বাংলাদেশ) পণ্ডিত অমিতাভ মুখোপাধ্যায়, পণ্ডিত প্রতাপ কুমার চক্রবর্তী, পণ্ডিত সমরেন্দ্র নাথ মুখার্জি, পণ্ডিত এস,হরিহরণের পুত্র শ্রীনাথ হরিহরণ, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক রূপক সাহা সেইসাথে ছিলেন সংস্থার কর্ণধার এবং বিশিষ্ট বাদ্যযন্ত্রশিল্পী লেখক ও অধ্যাপক তাপস কুমার পাল। উপস্থিত অতিথিদের পুষ্পস্তবক ও দুই দেশের উত্তরীয় ( ভারত ও বাংলাদেশ) ও স্মারক প্রদান করে বরণ করা হয়। পরবর্তী পর্যায়ে তাপস কুমার পাল এর লেখা সংগীতের আনাচে কানাচে সিরিজের প্রথম বই- "লকডাউনে লকার ভেঙে পেলাম" - বইটির আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করেন সাহিত্যিক প্রচেত গুপ্ত সাথে ছিলেন প্রকাশক স্বপন কুমার ঘোষ লেখক স্বয়ং, রূপক সাহা সহ উপস্থিত অতিথিগণ। প্রথম পর্বের অনুষ্ঠানে শেষ পর্যায়ে ছিল প্রজ্ঞা আন্তর্জাতিক এওয়ার্ড। প্রথমেই বাংলাদেশ থেকে আগত প্রফেসর জনাব কালাম মাহমুদ কে উত্তরীয়, স্মারক, সার্টিফিকেট ইত্যাদি দিয়ে সন্মান জানানো হয়। পরবর্তী পুরস্কার প্রাপকরা হলেন পন্ডিত অমিতাভ মুখোপাধ্যায় , পন্ডিত প্রতাপ কুমার চক্রবর্তী, পন্ডিত সমরেন্দ্র নাথ মুখার্জী, পন্ডিত এস হরিহরণ উপস্থিত থাকতে না পারার জন্য তার সুযোগ্য পুত্র শ্রীনাথ হরিহরন পিতার হয়ে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন। সকল পুরস্কার প্রাপকদের পুষ্পস্তবক, উত্তরীয়, স্মারক ও সার্টিফিকেট ইত্যাদি দিয়ে সম্মান জানানো হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ছিল নির্ভেজাল মেগা ভায়োলিন অর্কেস্ট্রা। যা এক কথায় অসাধারণ বললে কম বলা হবে। শুরুতেই অন্ধকারের মাঝেই দুই প্রধান গেট দিয়ে বেহালা বাজাতে বাজাতে ছাত্র ছাত্রীরা প্রবেশ করে। তার পরেই ছিল মঞ্চ কাঁপানো অনুষ্ঠান। মোট দশটি গান ৫০জন শিল্পী মিলে অসাধারণ পরিবেশন করেন। দশটি গান যন্ত্রসংগীতে পরিবেশন করা হয়-
১ ওড টু জয়
২. আনন্দ লোকে
৩. খণ্ডন ভব বন্ধন
৪. সকাতরে কাঁদিছে
৫. আজি শুভ দিনে
৬. আলো আমার আলো
৭. ধনধান্যে পুষ্পে ভরা 
৮. উঠগো ভারত লক্ষ্মী 
৯. মায়ের দেওয়া মোটা কাপড় 
১০. কারার ওই লৌহকপাট
পরিশেষে,পণ্ডিত এস হরিহরণ এর সুযোগ্য পুত্র বিদ্যান শ্রীনাথ হরিহরন কর্ণাটী বেহালাতে বাজায় রাগ হংসধ্বনি। মৃদঙ্গে ছিলেন বিদ্যান এম. রামকৃষ্ণ।পরিপূর্ণ প্রেক্ষাগৃহ দর্শকদের করতালিতে মুখরিত হয়ে ওঠে। সার্থকতা পেল এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সমগ্ৰ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন অধ্যাপক ড. শুভাশিস বসু ও জয়তী মুখার্জি।

Popular posts from this blog

We have fulfilled the CAA promise: Union Home Minister Amit Shah

Rahul Baba is running from one place to another to contest elections: Amit Shah

সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি কে.জে. বালাকৃষ্ণন কে সংবর্ধনা দিল লিগ্যাল এইড ফোরাম